মডেলিংয়ের জন্য তরুণীকে ডেকে গণধর্ষণ |

মডেলিংয়ের জন্য তরুণীকে ডেকে গণধর্ষণ |
MostPlay

পঞ্চগড়ে মিউজিক ভিডিও’র শুটিং করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী মডেল। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি হলেন- পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকী (৪৫) ও প্রথম বাংলা টিভি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চিফ নিউজ এটিডর ও গ্রাফিক ডিজাইনার সাজ্জাদ হোসেন মিলন (৩৩)।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ওই নারী বিগত কয়েক বছর ধরে মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেন। সেই সুবাদে তার পরিচয় হয় প্রথম বাংলা টিভি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের চিফ নিউজ এটিডর ও গ্রাফিক ডিজাইনার সাজ্জাদ হোসেন মিলনের সাথে। মিলনের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঝিনুকনগর এলাকায়। পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে পঞ্চগড়ের বোদায় একটি মিউজিক ভিডিও’র মডেল হিসেবে কাজ করার জন্য ওই তরুণীকে আসতে বলেন তিনি।

এর প্রেক্ষিতে ১৪ জুলাই সকালে পঞ্চগড়ের পৌঁছান ওই তরুণী। সেখানে পৌঁছানোর পর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবিদা সুলতানা লাকীর থানাপাড়াস্থ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় ভুক্তভোগীকে। পরে সাজ্জাদসহ ৪-৫ জন তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে ওই তরুণীকে বোদা পৌরসভার ভাসাইনগর এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আবারো গণধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা।

এক পর্যায়ে ১৫ জুলাই সেখান থেকে পালিয়ে বোদা থানায় আশ্রয় নেন ওই নারী। খবর পেয়ে পঞ্চগড়ের এসপি মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বোদা থানায় আসেন এবং পুলিশ কর্মকর্তা ও ভুক্তভোগীর সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। পরে রাতেই ৩ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে বোদা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই নারী। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে প্রধান দুই আসামি আবিদা সুলতানা লাকী ও সাজ্জাদ হোসেন মিলনকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তার দুই আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

এ বিষয়ে এসপি মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, “ধর্ষণের ঘটনায় অনেক বিষয় বেরিয়ে আসছে। আমরা ধারণা করছি এই ঘটনার সাথে পুরো একটি চক্র কাজ করেছে। আদালত আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করলে আরও অনেক তথ্য আমরা বের করতে পারবো। আমরা পুরো চক্রটিকেই বের করার জন্য কাজ করছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোদা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সায়েম মিয়া জানান, “মামলার প্রধান দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি সম্পন্ন হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password